খবরের সময় ডেস্ক
২৫ আগস্ট ২০২০ তারিখ সময় ০১.৩০ ঘটিকায় র্যাব-১, স্পেশালাইজড কোম্পানী, পোড়াবাড়ী ক্যাম্প, গাজীপুর এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, জিএমপি, গাজীপুর বাসন থানাধীন আউটপাড়া এলাকায় র্যাবের কর্মকর্তা পরিচয়দানকারী প্রতারক মোঃ আনোয়ার পাশা(৩০) অব¯’ান করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে অত্র কোম্পানীর কোম্পানী কমান্ডার লেঃ কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল-মামুন, (জি), বিএন এর নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্সসহ বর্ণিত ¯’ানে অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। মোঃ আনোয়ার পাশা(৩০), পিতা-মোঃ নাজিম উদ্দিন, মাতা- মোসাঃ জায়েদা খাতুন, সাং-শহিদনগর, থানা-পাগলা, জেলা-ময়মনসিংহ, বর্তমান ঠিকানা-সাং-আউটপাড়া, বাসা নং-ডি/১৮১(মোঃ নজরুল ইসলাম মাস্টার এর বাড়ির ভাড়াটিয়া), থানা-বাসন, জিএমপি, গাজীপুর’কে গ্রেফতার করে। এসময় ধৃত আসামীর নিকট হতে ০১টি বিদেশী পিস্তল, ০২টি ম্যাগাজিন, ০৪ রাউন্ড তাঁজা গুলি, ০১ সেট র্যাবের ইউনিফর্ম, ০২টি মোবাইল, নগদ ৫৬৪০/-টাকা, ফেইসবুক/হোয়াটসআপ এর স্কিনশট -২০ কপি, ও ০৮ টি সিমকার্ড উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত আনোয়ার পাশা ২০১৬ সাল থেকে বিভিন্নভাবে প্রতারণা করে আসছে। এছাড়াও সে দীর্ঘদিন ধরে র্যাব কর্মকর্তা সেজে প্রতারনা করে আসিতেছিল। প্রতারক আনোয়ার পাশা সারা দেশের বিভিন্ন এলাকায় র্যাবের মেজর মাসুদ রানা, মেজর শাহীন ও র্যাব ব্যাটালিয়নের অধিনায়কের পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও জনপ্রতিনিধিদের ইন্টারনেটের মাধ্যমে ফোন দিয়ে প্রতারিত করে আসছিল। তার নিকট প্রতারিত হয়ে ভুক্তভুগী অনেকেই অভিযোগ দায়ের করে। র্যাবের মনোগ্রাম, র্যাব কর্মকর্তার ছবি ব্যবহার করে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেইক আউডি খুলে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভনে প্রতারনা করিয়া বিকাশ ও রকেটের মাধ্যমে বিপুল পরিমান টাকা সংগ্রহ করিয়া আসিতেছিল। এছাড়াও অস্ত্রের ভয়ভীতি দেখিয়ে সাধারন মানুষের কাছে থেকে টাকা হাতিয়ে নিতো। সে বিভিন্ন সময়ে পৌরসভার নির্বাচন ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মেয়র প্রার্থী, কাউন্সিলর প্রার্থী ও ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থীদের ফোন দিয়ে অথবা সামাজিক যোগাযোগ এর মাধ্যমে নির্বাচনে মনোয়ন ও বিজয়ী করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে বিপুল পরিমান অর্থ আদায় করিতেছিল। চলতি বছরে বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারী কালে বিভিন্ন এলাকার জনপ্রতিনিধিদের ফোন দিয়ে দুস্থ মানুষের নামে দান করার কথা বলে চাঁদা বাবদ অর্থ আদায় করে। ধৃত আসামীর ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বার ০১৭১৩৬০৪৯৯৩, ০১৯১৫৭০০৯২৯, ০১৭১৩৮৭৫৫৮৯ এবং ০১৭১১২৭৯১৯০ দিয়ে কখনো সরাসরি কল করে কখনো হোয়াটসআপ এবং মেসেঞ্জার এর মাধ্যমে টাকা আদায় করিত বলিয়া ধৃত আসামী স্বীকার করে।
উল্লেখ্য যে, ২০১৭ সালে র্যাব-৩ কর্তৃক বিভিন্ন প্রতারণার জন্য গ্রেফতার হয়। ২০১৮ সালে কক্সবাজার জেলার রামু থানায় মানি লন্ডারিং মামলায় গ্রেফতার হয়, এবং ২০১৯ সালে কক্সবাজার জেলার রামু থানায় ইয়াবাসহ গ্রেফতার হয়। ধৃত আসামীর এহেন কর্মকান্ডে র্যাবের মতো একটি এলিট ফোর্স র্যাপিট এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন এর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।